ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি পেশা যেখানে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করি। এখানে যে যার ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারবে। যতক্ষণ ইচ্ছে কাজ করতে পারবেন অন্যের কোন কথা শুনতে হবে না। এটা চাকরির মত নয় যে অন্যের কথা মত অন্যের নির্দেশ মত কাজ করতে হবে। এখানে আপনি যতক্ষন ইচ্ছে সময় দিতে পারবেন আপনার যদি ইচ্ছা না হয় তাহলে আপনি কাজ করবেন না।
এখানে কাজ না করলে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি বড় জনপ্রিয় কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে ।বর্তমানে মানুষ এখন ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র একটি কাজ নয় এখানে একাধিক কাজ আছে। এগুলোর মধ্যে কে যেকোনো একটি কাজ বেছে নিয়ে আমরা ইনকাম করতে পারব। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে এখন অনেক বেকার ছেলেমেয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এই কাজটি যে কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষক এমনকি গৃহিণী সব শ্রেণীর মানুষ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটু দক্ষতা থাকলেই যে কোন মানুষ ঘরে বসে থেকে এ মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর ভালো দক্ষতা থাকলে খুব সহজেই স্বল্প সময়ে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কাজ করতে হলে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। কারণে কাজ করতে হলে ধরেছে ছাড়া কখনোই এর সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের শুরুতে প্রথম একটু কষ্ট করতে হয় কিন্তু তারপরেও অনেক সফলতা পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কাজ করতে হলে প্রথমত কম্পিউটারের ওপর বেশি প্রশিক্ষণ থাকতে হবে কেননা কম্পিউটার ছাড়া কখনই এ কাজ করা সম্ভব না। ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কাজ করার জন্য বেশিরভাগ মানুষ বিদেশ থেকে অনেক রকমের লোক হায়ার করে। বেশিরভাগ বিদেশি কোম্পানি ফিনান্সিং নিয়ে অনেক রকমের কাজ করে থাকেন। এবং তারা এই কাজ থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য টাইপিংয়ের কার সবচেয়ে বেশি জানা থাকা প্রয়োজন। টাইপিং এর মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা হয়ে থাকে।
নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হলো। আশা করছি নিচের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা কিছুটা হলেও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অনেক ধারণা করতে পারবেন। নিচে ফ্রিল্যান্সিং এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
(1)কি কাজ করবেন?
ফ্রীল্যান্সিং এ আপনার কাজের দক্ষতার উপর নির্ভর করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কি রকম কাজ করতে পারবেন।এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ হল রাইটিং। ফ্রিল্যান্সিং এ রাইটিং এর মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
(2)টাকা কিভাবে তুলবেন?
কিছু কিছু মারকেটপ্লেস আছে যেখান থেকে সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে টাকা লেনদেনের বিভিন্ন রকমের সার্ভিস থেকে টাকা তুলতে পারবেন এক্ষেত্রে প্রথমে আপনার একাউন্টে ডলার জমা হবে এবং পরবর্তীতে সেই টাকা ব্যাংকে জমা হবে। এবং আপনার একটি নির্দিষ্ট একাউন্টে টাকা জমা হবে এক্ষেত্রে টাকা উত্তোলনের সময় আপনাকে ব্যাংকে ফি দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যেন আপনার একাউন্টের কোড থাকে যদি কোড না থাকে তাহলে আপনার টাকা অন্য কেউ চুরি করে নিতে পারে।
(3)আউটসোর্সিং বাংলাদেশ:
আউটসোর্সিং এর সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো অডেস্ক। বাংলাদেশের এই মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এর অবদান তৃতীয় ।বাংলাদেশ 8000 বাংলাদেশি ফ্রীলান্সিং অডেস্ক আছে। এবং ফ্রিল্যান্সিং এ জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এখন বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সিংয়ের কাজ করা হয়ে থাকে । আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পন্ন করে স্বল্প সময়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
You must be logged in to post a comment.